দাঁত সাদা করার উপায়

দাঁত সাদা করার উপায়
ছবি :সংগ্রহীত 
একটি মানুষের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ হল তার হাসি।আর তা যদি হয় সুন্দর সাদা ঝকঝকে দাঁতের ঝিলিমিলি হাসি তাহলে তো কথায় এক হাসিতেই মন ছুঁয়ে যাবে। ইংরেজিতে একটা কথা আছে "First impression  is last impression." অর্থাৎ একটা মানুষকে প্রথম যে অবস্থায় দেখি সেটা ব্রেইনে স্টোর থাকে। যাই হোক,একটা মানুষের ব্যক্তিত্বে তার সুন্দর সুন্দর ঝকঝকে দাঁত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসুন জেনে নিই কিভাবে আপনি আপনার দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করে মানুষের মন চুরি করবেন।

ঘুমানের পূর্বে ব্রাশ করা:

আমাদের অনেকের অভ্যাস সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করা।এটি মূলত সঠিক অভ্যাস না আপনি যদি রাতে ব্রাশ না করে ঘুমিয়ে যান তাহলে খাবারের অংশবিশেষ আপনার দাঁতে আটকে রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া করে আপনার মুখ,মাড়ি ও দাঁতের ক্ষতি করে। এক্ষেত্রে আমাদের যেহেতু বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া সেজন্য দাঁতের রং এ সেরকম পরিবর্তন আসে। সেজন্য আমাদের উচিত ঘুমানের পূর্বে ভালোভাবে ব্রাশ করা তারপর ঘুমাতে যাওয়া।

ক্রসিং করা:

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডেন্টাল ক্রসিং কিনতে পাওয়া যায়।যেকোনো ধরনের ক্রসিং কিনলেই হবে এতে কোনো সমস্যা নেই।২-৩ দিন পর পর এক হলেও দাঁতে ক্রসিং করুন।এতে করে দাঁতের মাঝে যেসকল খাদ্য কণা ব্রাশ করার পরও থেকে যায় সেগুলো সহজেই দূর করা যায়।এতে করে দাঁতের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।

একই টুথপেস্ট ব্যবহার না করা:

অনেক সময় আমরা ব্যান্ডকে গুরুত্ব দিয়ে একই টুথপেস্ট বারবার ব্যবহার করে আসছি। এই সামান্য ভুলের জন্য আমাদের দাঁতের অনেক ক্ষতি করে ।শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি আমাদের মুখের ব্যাকটেরিয়া গুলো অনেকদিন একই পরিবেশে একই কেমিক্যাল এ থাকার কারনে তারা খাপ খাইয়ে ফেলে। তারা সহজেই প্রতিহিত হয় না । এজন্য মাঝে অবশ্যই আমাদের ব্যান্ড পরিবর্তন করতে হবে।

ইতিমধ্যে আপনার দাঁত হলদেটে হয়ে গেছে তাহলে কিভাবে সাদা করবেন ?

স্কেলিং করা :

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার দাঁতের ডাক্তার দেখানো উচিত। কিন্তু আমরা ৯০% লোকেরা ডেন্টিসকে দেখায় না। এজন্য আমাদের দাঁতে প্রচুর পরিমাণে পাথর থাকে এবং দাঁতের কলার তো বলার মতো। এজন্য যাদের হলদে বা দাঁতের কলার পরিবর্তন হয়ে গেছে যত  তাড়াতাড়ি সম্ভব ডেন্টিসের কাছে গিয়ে দাঁত স্কেলিং করা । তাহলে সহজেই সাথে সাথে আপনার দাঁত সাদা ঝকঝকে হয়ে যাবে। তারপর অবশ্যই দাঁতের যত্ন নিতে হবে।

প্রাকৃতিক উপায়:

যদি আপনার স্কেলিং করার মতো অর্থ কিংবা সময় না থাকে তাহলে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান যেমন; বেকিং সোডা,লেবু, লবণ,আদা ইত্যাদি পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করলে মোটামুটি ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।

 আরো পড়ুন ;





Next Post Previous Post