গ্রাহক হারাচ্ছে গ্রামীণফোন

গ্রাহক হারাচ্ছে গ্রামীণফোন
ছবি:সংগ্রহীত

বর্তমান সময়ের যদি বাংলাদেশের সেরা মোবাইল অপারেটরের নাম বলি তাহলে নিংসন্দেহে গ্রামীণফোন সিম কোম্পানির নাম সবার উপরে আসবে ।এত জনপ্রিয় থাকার সত্ত্বেও,দিন এই প্রতিষ্ঠানটি হারাচ্ছে তাদের মুল্যবান গ্রাহক। কিন্তু কেন হচ্ছে আসুন জেনে নিই।

নেটওয়ার্ক সার্ভিস:

বাংলাদেশের সকল প্রান্তে একই পরিমাণে নেটওয়ার্ক সার্ভিস দেওয়ার কথা বললেও প্রতন্ত এলাকায় এমনকি শহরাঞ্চলে কিছু কিছু জায়গায় ঠিকমত নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। এজন্য গ্রাহকদের অনেক ধরনের সমস্যা হচ্ছে ।

কলরেট বৃদ্ধি:

গ্রামীণফোন সিম কোম্পানি অন্যান্য অপারেটরের সাথে প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ প্রতিটা অপারেটর চায় সবচেয়ে কম টাকায় তাদের গ্রাহকদের সেবা । কিন্তু এই জায়গায় গ্রামীণফোন সিম কোম্পানির চিত্র ঠিক তার উল্টো।৪০-৪৮ পয়সা/মিনিট যেখানে প্রতিটা অপারেটর দিচ্ছে এদিকে গ্রামীণফোন সিম দিচ্ছে ৫৬-৬৫ পয়সা/মিনিট।

প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধি:

ইন্টারনেট, এসএমএস, মিনিট  থেকে শুরু করে সকল প্যাকেজের মূল্য প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইন্টারনেট যদি কোন গ্রাহক কিনতে যায় কোনো অফার ছাড়া তাহলে ১ জিবি ইন্টারনেটের দাম পড়বে ৳৫০ টাকার উপরে। কিন্তু অন্যান্য অপারেটরের এর ৩গুন ইন্টারনেট পাওয়া যায় একই দামে । আবার যদি মিনিটের অফার এর কথা বলি ৳২৯ টাকা সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় অফার গুলো তুলে নিয়েছে। মিনিটের দাম আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। একসময় এসএমএস এর জন্য ফ্লাক্সিপ্লান যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল কিন্তু কয়েক বছরের ব্যাবধানে তার দামও দ্বিগুণ বেড়েছে।

অফারগুলো বাতিল করা :

একসময় wowbox নামে গ্রামীণফোন সিম কোম্পানির একটি প্লাটফর্ম ছিল। যেখানে ফ্রিতে মেগাবাইট দিতো । পরবর্তীতে সেটা তারা বন্ধ করে দেয় । আবার *১২১*১৬০# ডায়াল করলে ২০এমবি তো যতখুশি ততবার এগুলো সব মার্কেটিং এর অংশ ছিল সব অফার গুলো বাতিল করে দিয়েছে।

সিমের দাম বৃদ্ধি:

একসময় ফ্রিতে জিপি সিম পাওয়া যেত। আবার সিমের মেলা হিসাবে সিমের সাথে টুপি,টি-শাট ,মগ ফ্রিতে দিতো। কিন্তু বর্তমানে শুধু সিম কিনতে গেলেই গুনতে হয় ৳২০০ টাকা। আবার যদি কোনো কারণে মুল্যবান সিম হারিয়ে যায় তাহলে সিম তুলতে খরচ হয় ৳৩৫০-৫০০ টাকা। যেখানে বাকি সকল অপারেটর ফ্রিতে সিম দিয়ে যাচ্ছে। এবং হারিয়ে যাওয়া সিম তুলতে মাত্র ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাগে। সেখানে জিপি কোম্পানি ভোক্তাদের চুষে খাচ্ছে।

অযথা টাকা কেটে নেয়া:

আপনি জিপি সিম ব্যবহার করেছেন কিন্তু এসএমএস এসে টাকা কেটে নিয়ে যায় এই সমস্যায় পড়ে নিন এমন গ্রাহক খুঁজে পাওয়া বিরল। ওয়েলকাম টিউনসহ বিভিন্ন রকমের প্যাকেজ অটোমেটিক চালু করে গ্রাহকের কাছ থেকে তার মূল্যবান টাকা কেটে নেয়।

কলড্রপ বৃদ্ধি:

আপনি আপনার প্রিয়জনের সাথে কথা বলতেছেন সেই সময়ে যদি কলরব হয় তাহলে কেমনটা লাগে সেটি আপনি বুঝবেন। বর্তমান সময়ে গ্রামীণফোন কোম্পানির সিমের কল ড্রপের পরিমাণ অনেক বেশি। এজন্য বিআরটিসি গ্রামীণফোনকে কয়েকটা নোটিশ দিয়েছে। এবং সাময়িক সময়ের জন্য সিম বিক্রি বন্ধ রেখেছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:[উপরোক্ত কারণগুলো ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে। ভুল ত্রুটি মার্জনীয়]
 

আরো পড়ুন;

দিন দিন গ্রামীণফোন সিমের গ্রাহক কমে যাচ্ছে  








 আরো পড়ুন;

Next Post Previous Post