হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর উপায়

আমরা জানি যে, হৃদপিন্ডের মাধ্যমে রক্ত পাম্পিং প্রক্রিয়ায় সারাদেহে প্রবাহিত হয়।আর এই প্রক্রিয়া কোনোভাবে ব্যাঘাত ঘটলে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয় না।এই অবস্থাকে হার্ট ফেলিওর বলে।

হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সবসময় শ্বাসকষ্ট এবংক্লান্তি অনুভব করবে।বুক ধড়ফড়, পায়ের পাতা ফুলে যায়, শরীরের পানি জমতে থাকে‌।একথায় অস্বস্তিকর অবস্থায় বিরাজমান থাকবে এই অবস্থায় চিকিৎসা না করলে বিরাট ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে।

করোনারি আর্ট্যারি ডিজিজ হলো হৃদরোগের একটি কারণ। এটির কারণে হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে ব্লক হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে ব্লক সৃষ্টি হয়। যা অনেকাংশে হার্ট অ্যাটাক ঘটাতে সক্ষম।ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন এর সমস্যা অনেকাংশে করোনারি আর্ট্যারি ডিজিজ ঘটাতে পারে।এই অবস্থায় ধীরে ধীরে হার্ট অ্যাটাক এর দিকে ধাবিত হয়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর উপায়
হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর উপায়

অনেক সময় বুকে অস্বস্তিকর ব্যাথা অনুভব হয় এটি অনজ্যাইমা নামে পরিচিত। অত্যাধিক চিন্তা-ভাবনা ,তেল চর্বি জাতীয় খাবার খেলে এটি হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায় । এজন্য এসব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

আসুক জেনে নিই হৃৎপিণ্ডের কোন সমস্যা জন্য কোন ধরনের টেস্ট করতে হবে ==============


১.X-ray -হৃৎপিন্ডের অবস্থান জানার জন্য করা যায়।

২.ECG-হৃৎপিন্ডের অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য করা যায়।

৩. ETT-হৃৎপিন্ডের অবস্থা এবং কাযক্ষমতা জানার জন্য করা যায়।

৪.BNP-হার্ট ফেইলিউর সম্পর্কে জানার জন্য করা যায়।

৫.MRI-হৃৎপেশির অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য করা যায়।

৬.এনজিওগ্রাম -হৃৎপিন্ডের রক্তনালীতে ব্লক আছে কি না জানার জন্য করা যায়।


কিভাবে হৃদরোগে ঝুঁকি কমানো যায়:

  • ধুমপান পরিহার করা
  • মানসিক চাপ কমানো 
  • প্রচুর ব্যায়াম ও সক্রিয় থাকতে হবে 
  • অধিক চবি জাতীয় খাবার পরিহার করা 
  • টাটকা শাকসবজি ফলমূল খাওয়া
  • প্রতিটিন কিংবা সপ্তাহে ২০ কিলোমিটার হাঁটা





Next Post Previous Post