চুল পড়া আর নয় দুচিন্তা এখন থেকে জাপানি নিনজা টেকনিক

মাথায় চুল তাই বলে টাকে টাকা আনি কিংবা মাথা ভরা টাক দিলি আকার দিলি না অথবা টাক হলো আভিজাত্যের প্রতীক এমন নানা কথার প্রচলন কাককে ঘিরে। এই প্রক্রিয়াটা যদিও প্রাকৃতিক তবুও মেনে নেয়া কঠিন আর সেটা যৌবনে হলে তো কথাই নেই।
চুল পড়া আর নয় দুচিন্তা এখন থেকে জাপানি নিনজা টেকনিক, এখন বাংলা
ছবি :সংগৃহীত 
চুল ফিরে পেতে নানা বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হন ভুক্তভোগীরা নানা ধরনের টোটকা পানি পড়া থেকে ,কবিরাজি তেল,আয়ুর্বেদ,হোমিওপ্যাথিক,এলোপ্যাথি,হেয়ারপ্লান্টেশন,লেজারট্রিটমেন্ট ও হরমোন ইনজেকশনসাধ্যমত সব দিকেই ঝুঁকছেন তেল কিংবা দোয়া-দরুদ অনেকে হারানো জমি ফিরে পেয়েছেন বলে দাবি করলেও এর বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই।

কারণ হারানো চুল ফিরে পাওয়ার বিষয়টি সহজতর নয় প্রায় অসম্ভব। জেনেটিক কারণে চুল যা ঝরে যায় যাবেঈ ধরে রাখা কঠিন।বলা জাপানে কত মানুষের মাথায় টাক আছে বা পরচুলা আছে সেটা গুনে বের করার সাধ্য কারো নেই কারণ তারা টাক থেকে রাখে ভীষণ গোপনীয়তায়।এ বিষয়ে তাদের আত্মসম্মানবোধ প্রবল প্রাইভেসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রচলিত আছে যে তারা হটস্পিনিংশে মানুষের সামনে পোশাক খুলতে লজ্জা পায় না যতটা পরচুলা খুলতে ।জাপানের টাকমাথা হলো পুরুষের দ্বিতীয় লজ্জাজনক অঙ্গ ।এই অঞ্চলের ২০১১ সালের সুনামির পর শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার সত্বেও কিছু পুরুষ ক্যাম্পে যায়নি কারণ তারা পরচুলা ব্যবহার করতেন সেটা না থাকায় প্রবল আত্মসম্মানবোধ আঘাত হানবে বলে তারা জনসম্মুখে যেতে চাননি।টাক নিয়ে যাদের এত প্রাইভেসি থেকে রাখার জন্য তারা যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তাতে অবাক হবার কিছু নেই জাপানের অধারানস এবং আর্মেচার নামক দুটো কোম্পানি আছে এরা টাক সমস্যার তাক লাগানো সমাধান দেয়।


টাকের কয়েকটি ধরন রয়েছে

  1.  এমটেক
  2.  বারকোড 
  3.  ইন্ডিয়াম বা পেনিনসুলা

টাক ঢাকা নিয়ে দুটো প্রযুক্তি রয়েছে জাপানে অপারেশন অথবা পরচুলা। অপারেশনের কানের যেইজায়গায় চুল আছে সেই জায়গায় চামড়াসহ ট্রেনিং তালুতে নিয়ে এসে জোড়া লাগিয়ে দেয়া।আর পরচুলা এটি অন্য কারো চুল নয় বরং ঐ ব্যক্তির চুল দিয়ে আর্টিফিশিয়াল চুল তৈরি করা হয়।চুলের স্থিতিস্থাপকতা নমনীয়তা সব বজায় থাকে মানুষের চুল দিয়ে বানানো পর চুলে ব্যাবহার করলে তা বসে যায় কিন্তু আর্টিফিশিয়াল চুলে তা হয়না আপনার চুলের রং সব ঠিক থাকবে কিন্তু দাম এখানেই কবি নিরব ।দাম শুনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন অনেকে তবে তাদের মার্কেটিং পদ্ধতি হল পরচুলা মানে শুধু চুল নয় ,এটি আপনার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়া।


জাপানের ৯০% মেয়েরা কোকো ছেলেদের এড়িয়ে চলে, তবে ফরাসি নারীদের কাছে নাকি টেকো ছেলেদেরই কদর বেশি ।যাইহোক ,আসল কথায় আসি কম্পিউটারের মাধ্যমে চুলের রং নির্ধারণ করে চুলের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গঠনগত দিক বিশ্লেষণ করে মাথা নিয়ে তৈরি করে পাঠিয়ে দেয়া হয়। থাইল্যান্ডে দুই মাসের মধ্যে আপনার ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা গ্যারান্টি এক বছর তিন চার বছর অনায়াসে ডেকে পরেরবার নেয়ার সময় বয়স অনুযায়ী কাঁচা পাকা চুলের বিষয়টিও মাথায় রাখে তারা একেবারেই প্রাকৃতিক রূপ দেয়ার।


 আরো পড়ুন;

চিনির দামে আগুন ;প্রতি কেজি চিনি কিনতে গুনতে হবে ১০০ টাকা 

ফুটবল খেলায় প্রথম সাদা কার্ড

পিরোজপুরে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ"মমিন মসজিদ" 

সাত রং চা সিলেটর শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত চা

কিভাবে নামকরণ করা হলো জাতীয় ফুল, ফল, মাছ ,পাখি?




Next Post Previous Post