বিপদ সংকেত হিসাবে লাল আলো ব্যবহার করা হয় কেন?

আমরা জানি, যে দৃশ্যমান আলোর সাতটি বর্ণের মধ্যে লাল আলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। আবার তরঙ্গের বিক্ষেপণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চতুর্থ ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক বলে বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে যাবার পথে অন্যান্য বর্ণের তুলনায় লাল বর্ণের আলোর বিক্ষেপণ কম হয়ে থাকে। এ কারণে লাল আলো বায়ুমন্ডলে অধিক দুর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। ফলে বিপদজনক স্থানে আসার আগে থেকেই গাড়ি ,ট্রেন ,জাহাজের বা বিমানের চালক লাল আলো দেখতে পেয়ে বিপদ সংকেত সম্পর্কে অভিহিত হয় ।তাই সর্বদা বিপদ সংকেত হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

যে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি সে আলোর প্রতিসরাঙ্ক কম হবে ফলে কম রেখে যায় এর জন্য লাল আলোর প্রতিসরণ কম হয়ে থাকে পক্ষান্তরে বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনেক কম তাই এর প্রতিসরাঙ্ক সবচেয়ে বেশি এজন্য বেগুনি আলোর প্রতিসরণ বেশি ফলে বেশি বেঁকে যায়।

 

বিপদ সংকেত হিসাবে লাল আলো ব্যবহার করা হয় কেন?
ছবি :সংগৃহীত 
বিপদ সংকেত হিসেবে লাল আলোকে ব্যবহার করার আরো একটি অন্যতম কারণ হলো এটি সহজে অন্য রং থেকে আলাদা করা যায়। ব্যাপারটা একটি উদাহরণের মাধ্যমে আমরা বোঝার চেষ্টা করব একটি একটি বাটিতে লাল , হলুদ , সবুজ রংয়ের বল রাখলে লাল বলটি সহজে সনাক্ত করা যায়। কিন্তু বাকি সব বল সহজে সনাক্ত করা যায় না । এরকমই জরুরী পরিস্থিতিতে লাল আলোকে সহজে সনাক্ত করা যায়।

Next Post Previous Post