বাম পাশ হয়ে ঘুমালে কি হয়


সারাদিনের কাজ ছেড়ে রাতে কয়েক ঘণ্টা শান্তির ঘুম আমাদের সবারই দরকার শরীরকে সুস্থ রাখতে ঘুমের প্রয়োজন সবথেকে বেশি হাজার ৯০ থেকে ৫৫ বছর মানুষের জন্য দই ঘুম প্রয়োজন হয় ৮ ঘণ্টা বছরের উপরের মানুষের জন্য ৬ ঘন্টা শিশুদের ক্ষেত্রে ১৬ ঘন্টা তিন থেকে ১২ বছরের শিশুদের ১০ ঘণ্টা এবং ১৩ থেকে ১৮ বছর কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে ১৩ ঘণ্টা ঘুমানোর ক্লান্তি দূর করে শরীরকে চাঙ্গা করে ।

বাম পাশ হয়ে ঘুমালে কি হয়
ছবি:সংগৃহীত 

কিন্তু কিভাবে ঘুমাচ্ছেন সেটাও লক্ষ্য রাখা দরকার কেমনভাবে ঘুমাচ্ছেন সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিৎকার নানাভাবেই আমরা ঘুমিয়ে থাকি তবে ভুল ঘুমের অভ্যাস স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে এর উপর নির্ভর করে আপনার শরীরের নানান সমস্যা হবে কিনা এক নজরে জেনে নিন কিভাবে ঘুমালে কি হয় কেউ ডান দিকে কেউ আবার বাম দিকে পাশ ফিরে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলেন বামদিকে ফিরে ঘুমালে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এটা ঘুমানোর সঠিক পজিশন বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমালে হজম ভালো হয় অম্বল এর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

 এই পজিশনে ঘুমালে বাম ডান দিকে পাশ ফিরে ঘুমানো স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না ঘুমালে নাক ডাকাও নিদ্রাহীনতার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে যারা এইভাবে ঘুমোতে পারেন না তাদের জন্য একটা কথা বলে রাখি একটি বালিশ নিয়ে দুটি হাঁটুর মাঝখানে রাখুন এতে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি হবে বালিশ জড়িয়ে হাতের উপর অংশের বিশ্রাম হয় মেরুদন্ড সাপোর্ট পায় এদিকে পাঁজরের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় আধুনিক ঘুমানো বিশেষজ্ঞরা অভ্যাসটা খুব একটা ভালো মনে করেন না।

 এর ফলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়তে পারে গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এই ভাসর সমস্যা তৈরি করতে পারে ভালবাস এভাবে ঘুমানো শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে চিকিৎসা করে বলেন এইভাবে ঘুমানোর অভ্যাস শরীরে রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে এভাবে ঘুমালে ঘুম থেকে ওঠার পর ফুরফুরা অনুভব করবেন।

 প্রেগনেন্সি মেয়েরা ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানো বাচ্চার শরীরে রক্ত কমে যায় পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়া মায়ের লিভারের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় তাদের সম্ভাব্য মায়েরা বাম পাশে শোয়ার অভ্যাস করুন হাটের কর্ম ক্ষমতা কমতে শুরু করে এর কারণ হলো ডান পাশে ফিরে শুলে হাটের ঠিকমত পৌঁছাতে পারে না ফলে হার্ট দুর্বল হতে শুরু করে বামদিকে ফিরে শক্তির কারণে হাটে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়।

ফলে স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে শুরু করে বিছানায় শুলে শরীরে রক্ত হয় কিন্তু ডান দিকে কাত হয়ে শুলে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহে বাধা পায় বিশেষ করে যথেষ্ট পরিমান রক্ত পৌঁছাতে না পারার ফলে অসারতা যন্ত্রণা নার্ভের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী রাতের বেশীর ভাগ সময় ডান দিকে ফিরে ঘুমালে গ্যাসের সমস্যার আশঙ্কা থাকে।


অন্যদিকে বা পাশ ফিরে শুলো রোগ সেরে যায় যার কারনে বুকে জ্বালা ও পেট গুড়গুড় করার মতো সমস্যা যাদের আছে তারা বাঁ দিক ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন চিকিৎসকদের মতে ডান দিকে ফিরে শুলে রিফ্লাক্স বাজি ওয়ার্ডের মতো রোগে আক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পায় আর এই রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে ইসোফেগাস এর উপর চাপ বেড়ে যায় যা থেকে শরীরে এ অংশের ক্যান্সার হতে পারে না ঢাকা বিশ্বাস করুন অথবা না করুন আপনার নাক ডাকা কমে যাবে।

কারণ বা পাস ফিরে শুতে নাগো গলার স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে ফলে শ্বাস নিতে কোন সমস্যা হয়না পায়ের উপর পা তুলে ঘুমানোর অভ্যাস বেশ ক্ষতিকর যদি মাঝরাতে ঘুম ভেঙে দেখেন এভাবে শুয়ে আছেন এবং এক পা আবার বেঁচে আছেন ।

দুই পা উপরে তুলে ঘুমালে কোমরে ভর বেশি পড়ে না এবং এতে কোমর ব্যথায় ভুক্তভোগীদের হয়তো আর আমরা হতে পারে কিন্তু পায়ের উপর পা তুলে ঘুমানো একদমই উচিত নয় ঘুমের সবচেয়ে আরও একটা ভালো দিক দিয়ে চেপে ধরে ঘুমানো এভাবে ঘুমালে মাথা সোজা থাকে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে এর ফলে শরীরের ভর চমৎকারভাবে বিভাজিত হয় এটাই সবচেয়ে সঠিক উপায় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা যারা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য।

এভাবে ঘুমানোর অভ্যাস খুবই ভালো উল্টোটা উপর আস অন একটু ঘুমানোর সময় ঘুমান ঘুমান তাদের অভ্যাসটা ত্যাগ করতে হবে কেননা বিশেষজ্ঞদের মতে এটি ঘুমানোর সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস এই প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় এতে করে পেট ও পাকিস্তানের উপর চাপ পড়ে ফলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা কমে যায় ঘুম ভেঙ্গে ওঠা সম্ভব হতে পারে আবার বালিশের মধ্যে মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে বুকের থেকে চাপ লাগে যার ফলে এসিডিটি বাড়ে আবার পাশ ফিরে হাঁটু ভাঁজ করে শুতে পছন্দ করেন অনেকে।৪১% মানুষ এভাবে ঘুমান।

তবে খুব বেশি হলে অস্বাভাবিক অসুবিধা হতে পারে আর্থাইটিস বাতের ব্যথায় ভোগেন তারা এই পজিশনে শুনে ব্যাথা পড়ার আশঙ্কা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি দুই পায়ের মাঝে বালিশ দিয়ে শুতে পারেন এবার জানুন কোথায় ঘুমানো ভালো সব সময় একই জায়গায় ঘুমানোর অভ্যাস করুন এতে করে সহজে ঘুম আসবে এবং খুব ভালো ঘুম হবে অপরিচ্ছন্ন জায়গায় ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঘুমানোর আগে বিছানা পরিষ্কার করে নিন।

অপরিচ্ছন্ন বিছানায় ঘুমানো এলার্জি কিংবা চর্ম রোগের আশঙ্কা থাকে এতে ঘুম ভালো হয় না নরম তুলতুলে শক্ত বিছানায় ঘুমের জন্য ভালো নরম বিছানায় ঘুমানো স্পাইন এর প্রয়োজনীয় ভারসাম্য থাকে না এতে করে ঘাড় পিঠ মেরুদন্ডে ব্যথা বেদনা দেখা দিতে পারে এ ধরনের সমস্যা আছে তারা বিছানার নিচে শক্ত কিছু ব্যবহার করতে পারেন তার সাথে এটাও জেনে রাখা ভালো কোন দিকে মাথা দিয়ে শোয়া ভালো জানেন কি বলছে বিশেষজ্ঞরা আরামদায়ক বিছানা থাকার পরও ঘুম নেই।

চোখে রাতের পর রাত জেগেই কাটিয়ে দেন অনেকে কেন এ ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে তার কারণ অনেকেই জানেন না যেতে ইচ্ছে মাথা দিয়ে শুলে ঘুম হবে এমনটা নয় শুধু তাই নয় পরিবর্তে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে কিনা তাও মাথায় রাখতে হবে সেই দিকে নজর দিই যেনে রাখুন কোন দিকে মাথা দিয়ে শুলে মিলবে সুফল আর কোন দিকে মাথা দিয়ে শুলে হতে পারে সমস্যার সম্মুখীন ।

১.উত্তর দিকে মাথা দিয়ে শোয়ার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বাস্তবতা এদিকে মৃত মানুষের মাথা ডাকা উচিত হলে এই দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো বড় কোন রোগে আক্রান্ত সম্ভাবনা থাকে ।

২.দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে শোয়া ভালো এই দিকে মাথা দিয়ে শোয়া ফলে ধন সম্পদ বৃদ্ধি পায় সংসারের সুখ আসে ।
৩.পূর্ব দিকে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকলে তাতে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় বুদ্ধি শক্তি বাড়ে তাই পূর্ব দিকে মাথা করে শোয়া উচিত । এছাড়া নাম যশ এরঅধিকারী তারা সহজেই হন।

৪.দক্ষিণ পশ্চিম দিকে মাথা করে শুয়ে থাকলে তাতে মিলবে এনার্জি । এদিকে মাথা দিয়ে ঘুমালে মিলবে সুফল মানুষকে শান্তি দেয় মন ভালো রাখে।
FAQ
১.বাম পাশে ঘুমানো উচিত কেন? 
উ:শ্বাস নিতে সুবিধা হয় 

Next Post Previous Post