সাত রং চা সিলেটর শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত চা
সাত রং এর চা খেয়েছেন নিশ্চয়ই খেয়ে না থাকলেও অবশ্যই নাম শুনেছেন কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন যে সাত রংয়ের চা কিভাবে বানানো হয় না খেয়ে থাকলেও এর পেছনের বিজ্ঞানটা আমাদের জানা দরকার এই সাত রংয়ের চা এর উদ্ভাবক রাম গৌর যিনি একজন বাংলাদেশী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে চা পাওয়া যায় এছাড়াও সিলেটের আরো অন্য জায়গায় এখন পাওয়া যায় কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় এই চায়ের বিভিন্ন স্তর কিভাবে তৈরি করা হয় তাহলে সে হয়তো ভাববে এদেরও সদৃশ কিছু মেশানো থাকে।
যার ফলশ্রুতিতে পানির সাথে মিশেনা কারন আমরা সবাই জানি যে পানি এয়ার্তেল কখনোই মিশি না কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এতে কোন তেল বা অসাধারণ কিছুই মেশানো হয় না এর প্রাথমিক উপাদান হলো পানি জিনিস যা আমরা হরহামেশাই এস দিয়ে চা বানিয়ে থাকি কিন্তু সাত রংয়ের চা কিভাবে এগুলো মেশানো হয় যাতে করে সাতটি আলাদা আলাদা ইস্পাত তৈরি হয় প্রথমেই লক্ষ্য করি এর প্রস্তুত প্রণালি দিকে প্রস্তুত পদ্ধতিতে লুকিয়ে আছে। |
গুরু রহস্য চিনি দিয়ে তৈরি করে সাত রঙ্গের চা তৈরি করেছে মাত্র দুই রঙের দ্বারা এবং দুধের রং বিভিন্ন রঙ্গের বদলে বিভিন্ন ফলের রস মিশিয়ে দিতে হয় তাহলে বাদ হয়ে যাক সাত রংয়ের চা নিতে হয় এর প্রায় তিন সেকেন্ড পরে লিখতে হয় ৩০থেকে ৬০সেকেন্ড পরে গরম দুধ ঢালতে হয় এভাবে একটার পর একটা ঢালতে হয় লক্ষনীয় যে প্রতিবার ঢালার পরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর আরেক উপাদান দেওয়া হচ্ছে এর ফলে নিচের লেয়ার অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা এবং যত উপরে যেতে থাকি তাপমাত্রা ততই বাড়তে থাকে আমরা জানি তাপমাত্রা বাড়লে ঘনত্ব কমে যায় আর যার ঘনত্ব কম সেটা উপরে ভেসে থাকবে সে কারণে হত মিশে যায় না।
তবে এটাও পুরোপুরি সঠিক চিন্তা না এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে আরও মজার চিত্তাকর্ষক বিজ্ঞান তিন পদ্ধতিতে পরিবাহিত হয় পরিবহন পরিচলন ও বিকিরণ তরল পদার্থের তাপ পরিবহন পদ্ধতিতে পরিবাহিত হয় কোন পাত্রে নিচ থেকে তাপ দিলে নিচের দিকে পানি আগে গরম হয় ফলে নিচের পানির ঘনত্ব কমে যাওয়ায় তা উপরে উঠে আসে আর অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা ও ভারী পানির নিচে চলে যায় এভাবে তাকে আদান-প্রদান হতে থাকে তবে সাত রংয়ের চা এর ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত গরম অংশই উপরের দিকে থাকে তাই যতটুকু থেকে নিচে যাওয়া যায় তাপমাত্রা কমতে থাকায় পরিচালন বাধাগ্রস্ত হয় এই কারণেই সাত রঙ্গের শাড়ি চুলগুলো একে অপরের সাথে মিশে যায় না তবে আমাদের চা সাত রংয়ের বললেও এটি আসলে ।
আরো পড়ুন;
চিনির দামে আগুন ;প্রতি কেজি চিনি কিনতে গুনতে হবে ১০০ টাকা
চুল পড়া আর নয় দুচিন্তা এখন থেকে জাপানি নিনজা টেকনিক
পিরোজপুরে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ"মমিন মসজিদ"
কিভাবে নামকরণ করা হলো জাতীয় ফুল, ফল, মাছ ,পাখি?