কিভাবে নামকরণ করা হলো জাতীয় ফুল, ফল, মাছ ,পাখি?
শিশুকাল থেকে আমরা সকলেই শিখেছি বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা জাতীয় ফল কাঁঠাল এবং জাতীয় পাখি দোয়েল এর কারণ কি কখনো ভেবে দেখেছেন জাতীয় পাখি আবার দেশের বেশিরভাগ মানুষ পছন্দের দিক থেকে এগিয়ে রাখা সত্ত্বেও কাঁঠাল কে কেন জাতীয় পালের মর্যাদা দেয়া হল এর নেপথ্যের কারণ আসুন জেনে নিই
ছবি:সংগৃহীত |
সাধারণত কোন দেশের জাতীয় পশু পাখি ফুল ফল ইত্যাদি নির্ধারণ করার আগে খুব ভালো করে দেখে নেওয়া হয় দুটি বিষয় প্রথমত যখন জাতীয়ভাবে কোন কিছু নির্বাচিত হয় সে দেশে জিনিসটি অনেক বেশি পরিমাণে আছে কিনা তা দেখে নেয়া হয় পরিমাণে বেশি থাকার অর্থ জিনিসটির সঙ্গে সবাই পরিচিত আর প্রচুর সংখ্যক থাকার কারণে তাদের কেউ সহজভাবে রিপ্লেসমেন্ট করতে পারে।
এ ক্ষেত্রে বলা যায় শাপলা ফুলের কথা সাধারণত বর্ষা মৌসুমে খালে-বিলে ফুটে থাকে সাদা শাপলা আর এই ফুলকে সব বয়সের মানুষই খুব ভালোভাবে চেনে ও জানে আবার যদি বলা হয় ইলিশ মাছের কথা তাহলে ওই একই জিনিস কেউ কোন মাছের নাম না জানলে ও ইলিশ মাছের নাম কিন্তু ঠিকই সবাই জানে ও চীনের জনপ্রিয়তা এত ব্যাপক যে সবাই এর নামের সাথে বেশ পরিচিত ।
আসা যাক দ্বিতীয় প্রসঙ্গ নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাচাইকরণ অর্থাৎ আশেপাশের অন্য কোন দেশ আগে থেকে জিনিসকে তাদের জাতীয় মর্যাদা দিয়ে ফেলেছে কিনা এই দুটোর মূলত কোন কিছুকে জাতীয় হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রধান মানদণ্ড জানা গেছে জাতীয় মর্যাদা লড়াইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতার টেবিলে ছিল শালিক দোয়েল বকসহ ৩৪ টি পাখির নাম অথচ তার মধ্যে দোয়েল কে মনোনীত করা হয়েছে।
কারণ পাখিটির দেশের সর্বত্রই পাওয়া যায় শহর থেকে শুরু করে পাহাড় বোন কিংবা গ্রামের নির্জন পুকুরের পাড়ে তার দেখা মেলে অবস্থানে রয়েছে এমন জায়গায় সাধারণত যে পাখি শহরে থাকে সেবনে থাকতে পারেনা বাসস্থান বিচরণভূমি ও আহার গতকাল তবে এক্ষেত্রে সর্বত্রই রয়েছে দোয়েল এ ছাড়া দোয়েল কিন্তু অন্য কোন দেশের জাতীয় পাখি এখন তোকে দেখতেই পারে যে দেশের সবখানে কাকের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও কাক কেন জাতীয় পাখি হলো না মূলত স্বভাবগত কারণ এই কাজটিও পাখি তালিকায় পড়ে না এদিকে দোয়েল খুব শান্তিপ্রিয় একটি পাখি কখনোই এরা মানুষের কোন ক্ষতি করে না তার চেয়েও বড় বিষয়ে পাখির চমৎকার গানের গলা ভোরবেলা তার মিষ্টি মধুর কন্ঠ প্রকৃতির চারপাশে মধুর করে তোলে আর সামগ্রিক দিক বিবেচনা ।
করে গবেষক দল দলকে জাতীয় পাখির মর্যাদা দেয় এবারে চাই জাতীয় ফল কাঁঠাল প্রসঙ্গে এদেশে কাঁঠাল ও চেনেনা এমন একজনও পাওয়া দুষ্কর সব জায়গা পেয়ে গাছ দেখতে পাওয়া যায় তাছাড়া কোন দেশে একাধিক ফল থাকলেও এমন একটি ফল কে জাতীয় ফল হিসেবে নির্ধারণ করা হয় যার সঙ্গে ওই দেশের সংস্কৃতির যোগ রয়েছে একটি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে ফলের যোগসূত্র থাকলেও তা ঐ অঞ্চলে জাতীয় ফল হিসেবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়।
আর এ বিষয়ে অনেকেরই মতে কাঁঠালের আদি নিবাস বাংলাদেশ ও আশপাশের অঞ্চলের এছাড়া জাতীয় ফলের মর্যাদা দেয়ার ক্ষেত্রে এ ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিমাণের কথাও বিবেচনা করা হয়েছে শুধু মানুষই নয় খাদ্য হিসেবেও কাঁঠাল এবং এই গাছের পাতার জুড়ি নেই বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবেও এফল কাজ করে ব্যাপক আর কাঁঠাল গাছের কাজ বেশ উন্নত মানের মূলত এসব কারণে কাঁঠালের পরিচিতি শুরু থেকেই কাঁঠাল পায়েল জাতীয় ফলের মর্যাদা এক্ষেত্রে আসতে পারতাম এর কথা কিন্তু আগে থেকেই আম ভারতের জাতীয় ফল হিসেবে থাকার কারণে এ প্রস্তাব আর আলোর মুখ দেখেনি তবে আমরা এ দেশের জাতীয় বৃক্ষের মর্যাদা ঠিকই পেয়েছে।
আরো পড়ুন;
চিনির দামে আগুন ;প্রতি কেজি চিনি কিনতে গুনতে হবে ১০০ টাকা
চুল পড়া আর নয় দুচিন্তা এখন থেকে জাপানি নিনজা টেকনিক
পিরোজপুরে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ"মমিন মসজিদ"
সাত রং চা সিলেটর শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত চা